১৯ জুন ২০১৭ সোমবার, ১০:৪১ এএম
নতুনসময়.কম
![]() |
বাড়িতে বাড়িতে তাজামাছ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে এ রাজ্যে অত্যাধুনিক ব্যাটারিচালিত গাড়িতে মাছ বিক্রি করা হবে। চলতি মাসেই মহারাষ্ট্র থেকে চারটি গাড়ি আনা হচ্ছে। প্রথমে কলকাতা ও শহরতলিতে ১০টি গাড়িতে মাছ বিক্রি করা হবে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে জেলায় জেলায়।
নলবন, গোলতলা, রাজারহাটে অবস্থিত নিগমের জলাশয়গুলি থেকে নানা প্রজাতির তাজামাছ ন্যায্য মূল্যে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই নিগমের উদ্দেশ্য। নিগম ঠিক করেছে, মাসিক বেতনের ভিত্তিতে নারীদের নিয়োগ করা হবে। তিন চাকার গাড়ির পেছনে থাকবে রেফ্রিজারেটর-বক্স। সেই গাড়িতে করে সরবরাহ করা হবে মাছ।
নিগমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌম্যজিৎ দাস বলেন, রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস ছাড়াও থাকবে বাটা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, ট্যাংরা, পাবদা, কই, চিংড়ি প্রভৃতি।
বছর দেড়েক আগে মুম্বাই আইআইটি-র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কিশোর মুন্সির উদ্ভাবনায় তিন চাকার ব্যাটারিচালিত গাড়িটি প্রথম বাজারে আসে। সেই গাড়িতে করে ইতোমধ্যে আনাজ, দুধ বিক্রি শুরু করেছেন মুম্বাই ও পুনের নারীরা।
সৌম্যজিৎ বলেন, মহারাষ্ট্রে প্রচলিত তিন চাকার ব্যাটারিচালিত প্রতিটি গাড়ির দাম প্রায় দে়ড় লাখ টাকা।
দফতর সূত্রে জানা যায়, সকাল-বিকেল দুটি শিফটে মাছ বিক্রি হবে। সকালে নিগমের জলাশয় থেকে তাজামাছ ডেলিভারি করবেন যে নারীরা, তারাই আবার বিকেলে বেরুবেন রান্না করা খাবার নিয়ে। বিকেলের খাদ্য তালিকায় থাকবে মাছের ফ্রাই, ফিঙ্গার, রোল, কাবাব, বিরিয়ানিসহ রকমারি ভাজা।
নিগমের এক কর্মকর্তা জানান, বিক্রেতা নারীদের সঙ্গে এলাকার যোগাযোগ যেন ভালো হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি বাড়ির ফোন নম্বর বিক্রেতাদের নিজেদের কাছে রাখতে হবে। বিক্রেতার ফোন নম্বরও থাকতে হবে বাড়িতে।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী, রকমারি মাছ বাঙালির পাতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
নতুনসময়.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।